সিলেট প্রতিবেদক,
সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াকে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই পরিবারের অভিযোগের তীর পুলিশের দিকে। এ ঘটনায় রোববার রাত আড়াইটায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় রায়হান আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তান্নি বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল সোমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই আকবর হোসেন ভূইয়াকে আজ সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে আরও তিন পুলিশ সদস্যকে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।
এদিকে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলার কাগজপত্রও হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়িতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন ও ফাঁড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাসের এক মেয়ে রয়েছে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতো সে।